বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কবির সিকদার (৪০) নামের এক কয়েদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (০১ মার্চ) দুপুরে কারাগারে বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক।
নিহত কবির সিকদার (৪০) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার জামিরতলা এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে।
সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি কবির সিকদার গত বছরের অক্টোবর মাসের ২ তারিখে ভোলা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। অসুস্থ থাকার কারণে এখানে আসার পর সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি জেলখানায় ঝাড়ু দফায় কাজ করছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুপুরে বেশ কিছু সময় ধরে তার নির্ধারিত স্থানে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কারাগারের ভেতরেই বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সাথে কয়েদি গামছা দিয়ে গলায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।'
এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেল হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘ধারনা করা হচ্ছে কৌশলে কবির তার নির্ধারিত স্থান থেকে সরে গিয়ে দেয়াল টপকে বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবন এলাকায় পৌঁছায়। তবে এ ঘটনায় কারো দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পাশাপাশি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।