পূবালী ব্যাংকের টাকা ডাকাতি করা পরিকল্পনা ছিল আটককৃত ডাকাত দলের ১২ জন সদস্য।
সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ডিবির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ জন ডাকাত এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের ২ সক্রিয় সদস্যকে আটকের পর তাদের কাছে থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ডাকাত সদস্যরা জানান, ধোলাইপাড়ের মোড়ে পূবালী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডকে জিম্মি করে ডাকাতি করার জন্য তারা একত্রিত হয়েছিল। এর আগে চক্রটি ঢাকার কদমতলী, রামপুরা, সাভার, মুন্সিগঞ্জ, যশোর, ফেনী, কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করেছে।
তারা আরও জানান, সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি মময়মনসিংহের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় পুলিশের একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
ডিবির এই প্রধান কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি সংঘটনকালে গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছে।’
হুজি সদস্যদের সঙ্গে ডাকাতদলের সম্পর্কের বিষয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ডাকাত দলের অস্ত্র ও পরিকল্পনা দিয়ে সহযোগিতা করতো নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের এই দুই সদস্য। ডাকাতি থেকে পাওয়া অর্থের ৩০ শতাংশ ঐ জঙ্গি সংগঠন পেত। যার ফলে তাদের মধ্যে একটি সখ্যতা তৈরি হয়েছিল।’