জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী জাগরণের পথিকৃৎ যারা, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই শত বাঁধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়নের রোল মডেল। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পেশায় এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে, আপন মহিমায়। আলোকিত নারী তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর অবদান মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট পাঁচ নারীকে সন্মাননা স্মারক ও সংবর্ধনা দেয় বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্ট। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
সন্মাননা স্মারক ও সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন-
প্রথম নারী সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা। বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী জাগরণে এবং আলোকিত নারী তৈরিতে কাজ করে গেছেন। ক্ষণজন্মা নারী বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ স্বল্প সময়ে নারীদের সংগঠিত করে নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্ট নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজা খানম, বাংলা রেকর্ডসের চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, অধ্যাপক খন্দকার নজরুল হক প্রমুখ।