নদী দখল উচ্ছেদে টাস্কফোর্স পরিচালনায় সরকার কোনো কোনো জায়গায় আপসমূলক ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ।
তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে এ জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। আমরা চাই, আন্দোলন একদম সাফল্যমণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং এই নদীকে রক্ষা করতেই হবে।’
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা খেয়াঘাট (ব্রিজের নিচে) পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘সদরঘাট থেকে বসিলা পর্যন্ত এসে আমরা দেখলাম বেশ কিছু অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও লক্ষ্য করে দেখেছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের চাপে অথবা অন্য অজ্ঞাত কারণে সরকার কম্প্রোমাইজ করছে। সরকারের আপসমূলক ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবেশবাদীরা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতালক্ষ্যা, ধলেশ্বরীর এই নদীগুলো যাতে দখল ও দূষণ মুক্ত থাকে সেটার জন্য আন্দোলন করছি। সরকার এর আগেও দু,একবার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই সফলভাবে পরিচালিত হয়নি। অল্প কিছুদূর গিয়েই থমকে গেছে। কারণ নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত। প্রভাবশালীদের কারণে সরকার আন্দোলনটাকে দীর্ঘদিন পরিচালনা করতে পারেনি। চলমান যে আন্দোলন চলছে এটাকে আমরা সমর্থন করি এবং এই উদ্যোগের জন্য সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’
নদী দখলদারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সৈয়দ মকসুদ বলেন, ‘যেভাবে নদী বেদখল হয়ে গেছে এটা সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে হবে। এটা শুধু পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে না, সবার দাবি। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এর কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের উচ্ছেদ করলেই হবে না, যারা এ ধরনের বেআইনি কাজ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের অন্যায় কাজ করতে সাহস না পায়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম-সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবীবসহ নেতৃবৃন্দ।