`বায়ুদূষণ রোধ এখন বড় চ্যালেঞ্জ'

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 22:40:44

বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এছাড়া বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়ে মারা যায়। ফলে বায়ুদূষণ এখন নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এটা এখন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সবাইকে একসাথে মোকাবেলা করতে হবে। বায়ুদূষণ কমাতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত `নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, ঢাকার বায়ু এখন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বায়ুতে ধুলাবালির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য সবার চেয়ে বায়ুদূষণের সবচেয়ে বেশি শিকার হন নারী ও শিশুরা। এখন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে বায়ুদূষণজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এই দূষণরোধে কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই।

পরিবেশ, বায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, `ঢাকা শহরের যে মূল সমস্যা হচ্ছে ডাস্ট পলিউশন। আমাদের অন্যান্য যে সব দূষণ আছে যেমন বাতাসে শিশার পরিমাণ, মেলালিনের পরিমাণ অনেক কম। কিন্তু ধূলি দূষণের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ইটভাটার ধূলি কনা, রাস্তার ধুলাবালি, এসব কারণে ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলছে। এসব বন্ধ করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।'

পরিবেশ অধিদফতদেরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, `আমাদের রাজধানী ঢাকাতে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। রাস্তা খোঁড়াখুড়ি, পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি নির্মাণ, এসব ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলাবালির সৃষ্টি হয়। এই সব ধুলাবালির কারণেই রাজধানী ঢাকার এই অবস্থা। কারণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে যেসব নিয়ম মেনে চলতে হয় তা কেউ মানেন না। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে রাস্তা পরিষ্কার করে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছি না আমরা। বায়ুদূষণ রুখতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।'

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, `আমরা চাইলেই বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে পারি। তার জন্য সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। আমাদের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা চাইলেই অনেক কিছু পারি। শুধু দরকার সমন্বয়তার।'

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট ডাক্তার শাকিরা নোভাসহ আরও অনেকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর