ঐক্যফ্রন্টের বাকিরাও সংসদে আসবেন আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 14:56:48

একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী আট প্রার্থীর মধ্যে শুধু সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ সংসদে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা এখনো শপথ নেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের অন্তত একজন নেতা এখানে আছেন, তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আগামীতে বাকিরাও চলে আসবেন।’

সোমবার (১১ মার্চ) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব ও প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান জানিয়ে সংসদে এসে যা বলার বলুন, কোন বাধা দেব না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে এসেছিল, পছন্দ মতো আসন সংখ্যা পায়নি। তবে সবার উদ্দেশ্যে জানাতে চাই যে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে শতকরা ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছিল, আর ২০১৮ সালে ভোট সংখ্যা ছিল ৮০ ভাগ। ঐ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাত্র ২৮টি আসন পেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট যাকে (ড. কামাল) প্রধান করেছে, তিনি নির্বাচন করেননি। বিএনপির প্রধান দুই জনের মধ্যে একজন এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে কারাগারে, আরেকজন খুন-দুর্নীতির দণ্ডিত পলাতক আসামি। যে দলের চেয়ারপারসন একজন কারাগারে, অন্য জন দেশান্তরী। জনগণ কী দেখে তাদের ভোট দেবে?’

‘নির্বাচনের সময় জনগণকে তারা দেখাতে পারেনি নির্বাচিত হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কে দেশ চালাবেন। এ কারণে জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছে, তাদের ভোট দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। কোন কোন আসনে নির্বাচনের দুই দিন আগেও তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করেছে। বিএনপির যেসব ভোট ব্যাংক, তারাও তো ভোট দিতে পারেননি। কারণ তারা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ’৭৫ পরবর্তী নির্বাচন কিভাবে হয়েছে? খুনী জিয়াউর রহমান একাধারে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি হলেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ তো তারাই করেছে। প্রতিটি নির্বাচন নিয়ে তারা খেলা খেলেছে। দশটা হুন্ডা, ২০টা গুণ্ডা- নির্বাচন ঠাণ্ডা। আগে এটাই ছিল নির্বাচনের পরিবেশ।’

‘সে ধরণের কোনো ঘটনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঘটেনি। একটা দল বা জোট নির্বাচনে এসে সরকার প্রধান কে হবেন তা বলতে পারে না, মনোনয়ন বাণিজ্য করে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়নি। জয়ী হতে পারতো এমন বহু প্রার্থীকে মনোনয়ন বাণিজ্যর কারণে বিএনপি প্রার্থী করেনি।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যদের অনেকে সেনা প্রিয় বলেন। দেশের এমন কিছু লোক আছে, দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আসলেই তাদের সুবিধা হয়। তারা কোনো উন্নয়ন চোখে দেখে না। তবে তারা কে কী বললো তাতে কেয়ার করি না, আমি কেয়ার করি দেশের জনগণকে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর