জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর রোয়েদাদ, বকেয়া মজুরি, মজুরি কমিশন প্রদান, গ্র্যাচুইটির অর্থ ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনাসহ দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদ। ধর্মঘট চলবে আগামীকাল (১৩ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
ধর্মঘটে অংশ নেয়া মিলগুলো হলো- ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, দৌলতপুর, খালিশপুর, ইস্টার্ন, আলিম, জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল। ধর্মঘট সফল করতে এসব মিলের প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।
ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, শ্রমিকদের প্রাণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর রোয়েদাদসহ অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও শ্রমিকদের বীমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, বরখাস্ত শ্রমিক, কর্মচারীদের শ্রম আদালত ও শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত আইনজীবী তা না চালানোর মতামত দেয়া সত্ত্বেও বিজেএমসি উচ্চতর আদালতে আপিল করার ফলে মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, মৌসুমে পাট কেনার টাকা বরাদ্দ, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের জন্য তাদের এ আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। দাবি মেনে নিলে আমরা শান্ত হব।’
শ্রমিক নেতা রশীদ তালুকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘৯ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ইতোমধ্যে ৪ মার্চ রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, ৮ মার্চ সারাদেশের পাটকলে শ্রমিক সমাবেশ, ১০ মার্চ মিছিল করেছি আমরা। আজ সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছি। আগামী ১৯ মার্চ আবারো ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল ও ২৪ মার্চ ঢাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দাবি না মানলে আমরা আরও আন্দোলনে যাব।’
উল্লেখ্য, ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২ মার্চ ৭ দিনের আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা।