চট্টগ্রামের উন্নয়নে সঙ্গী হওয়ার কথা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক।
তিনি বলেছেন, `উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। পোশাক শিল্প, মৎস্য, জনশক্তি, কৃষি শিল্পাঞ্চলসহ বহু সেক্টরে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, সাগর-নদী সবকিছু মানুষকে আকৃষ্ট করে।'
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সাইয়েদ মো. বেলাল, স্পেনের রাষ্ট্রদূত মি. আলবারো ডিসালাস, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি. হেরি ভারুইজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত মি. এনরিকো নুনজিয়াতা এবং চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের নেতা তিরিংক বলেন, `ইইউ বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষেত্রে বড় উন্নয়নের অংশীদার।' এ সময় ইইউ দূতের সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা বাংলাদেশের সমসাময়িক উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিরিংক সিটি মেয়রের কাছে বর্তমান নগরীর চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, `বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমান নগরের বড় সমস্যা।'
তিনি আরও বলেন, `১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম নগরীর জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ মাস্টার প্লানসহ অপরাপর খালসমূহ গভীর ও প্রশস্থ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চট্টগ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কর্ণফুলী নদী ভরাট, সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।'
মেয়র ইইউ'র প্রতিনিধি দলকে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা, ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান, জনসংখ্যা নগরীর শিক্ষা কার্যক্রম, সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবা, নগর উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় ইইউ প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের উন্নয়নে মেয়রের সাথে থাকার আশ্বাস দেন।