নিউজিল্যান্ড ট্রাজেডি: সামাদের স্ত্রী মারা যাননি

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 18:09:39

নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদের স্ত্রী কোশোয়ারা সুলতানা ছবি মারা যাননি। তবে স্বামী আবদুস সামাদের মৃত্যুতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন কোশোয়ারা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কোশোয়ারার ভাই বায়েজীদ বিল্লাহ্ এ কথা জানান।

নিউজিল্যান্ড প্রবাসী কোশোয়ারা সুলতানা ছবির বাড়ী রংপুর মহানগরীর গুপ্তপাড়া এলাকায়। তিনি মরহুম আইনজীবী কাজী নাসিমুল হক এর পাঁচ মেয়ের মধ্যে বড়। স্বামী ও সন্তানদের সাথে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত কোশোয়ারার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদও তার মায়ের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কেশোয়ারা সুলতানার ভাই বায়জীদ বিল্লাহ ও নাজমুস সাকিব রঞ্জু জানান, ঘটনার পর তারা কেশোয়ারার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছেন যে তিনি বেঁচে আছেন। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের আচরণ করছেন তাদের বোন।

বিভিন্ন মিডিয়ায় বোনের মৃত্যুর খবরে হতাশা ও কান্নায় দিশেহারা পরিবারেরর সদস্যরা নিউজিল্যান্ডে খোঁজখবর নেন। সেখান থেকে নিশ্চিত হন আবদুস সামাদ মারা গেলেও বেঁচে আছেন কোশোয়ারা সুলতানা ছবি। পাঁচ বোন ও দশ ভাইয়ের মধ্যে বোনদের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনি। 

১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী কেশোয়ারা সুলতানাকে বিয়ে করেন আবদুস সামাদ। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে স্ত্রী কেশোয়ারা সুলতানা, ছেলে তোহান মোহাম্মদ, তারেক ও তানভিরসহ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। পরে বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ দেশে ফিরে এসে বসবাস করলেও বাকিরা সেখানেই থেকে যান। সেখানে তিনি ‘মসজিদে নুর’-এ মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।

জানা গেছে, নিহত অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যা গ্রামে। তার বাবা মরহুম জামাল উদ্দিন সরকার। পাঁচ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে আবদুস সামাদ ছিলেন তৃতীয়। তার বড় ভাই আসাদ সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ছোট ভাই নাগেশ্বরী কলেজের শিক্ষক একেএম সামসুদ্দিন ও আরেক ছোট ভাই হাফেজ হাবিরুর রহমান।

আবদুস সালাম দম্পতি ছেলে তারেক রহমান ও তানভীর হাসানকে সাথে নিয়ে পাঁচ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করে আসছেন। তাদের আরেক ছেলে তোহা মাহমুদ ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর