নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক কাজী মোদাসের আহমেদ মেয়েকে সঙ্গে করে এসেছেন চট্টগ্রাম রিহ্যাব মেলায়। দীর্ঘক্ষণ মেলায় ঘুরে বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠান দেখেছেন পছন্দের ফ্ল্যাট ক্রয় করতে। দামের সাথে মিলিয়ে সুবিধামত স্থানে ফ্ল্যাটের খোঁজে সময় পার করেছেন তিনি।
কথার এক পর্যায়ে মোদাসের আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, অনেকদিন ধরে একটি ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহ ছিল নগরীর পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ এলাকায়। আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম বলে না। তাই মেলায় দাম যাচাই-বাছাই করার সুযোগ পেয়েছেন।
মোদাসোর আহমেদের মতো অনেকেই চট্টগ্রামের পাঁচতারকা হোটেলের মেজবান হলে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশ অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) মেলায় এসেছেন। পছন্দের ফ্ল্যাটের নানান তথ্য খুঁজে নিতে ঘুরছেন স্টলে স্টলে। গ্রাহকদের চাহিদা ও আগ্রহ দেখে বিক্রেতারাও তুলে ধরছেন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা।
মেলায় আবাসন প্রতিষ্ঠান র্যাংকস গত বছর সাতটি প্রজেক্ট গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করে। এবার ছয়টি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। এর মধ্যে নগরীর নাসিরবাদ পোর্পাটিজ, খুলশী ও মেহেদীবাগ এলাকায় মনোমুগ্ধকর প্রজেক্ট নিয়ে এসেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ইমতিয়াজ উদ্দীন বাশার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ ক্রেতা ধনাঢ্য ও ভিআইপি। প্রজেক্ট বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতনতার জন্য কাজ করছি।’
ইমতিয়াজ বলেন, ‘নগরীর দুই নম্বর গেইট, হালিশহর, কাতালগঞ্জে মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের সেবা নিয়ে কয়েকটি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।’
সরকারি কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ চাকরির কারণে ঢাকা না চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট কিনবেন এ নিয়ে দোটানা বোধ করছেন। শেষ দুই বছরে তিনি স্থির করেছেন একটি আবাসিক ফ্ল্যাট কেনার। তিনি
এএনজেড স্টলে পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছিলেন।
এছাড়া সেনমার, কর্নকড, ইকুয়টি প্রর্পাটিজ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদেরকে ডিসকাউন্টের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ক্রয়ের সুবিধা দিচ্ছেন।
এর পাশাপাশি মেলায় বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ঋণের বিষয়ে গ্রাহকদের সুবিধার কথা তুলে ধরছে প্রতিষ্ঠানগুলো।