বাতিঘর মাশুল না দিলে আটকে যাবে জাহাজ

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 00:55:33

বাংলাদেশের বন্দরে আগত ও প্রত্যাগত এবং এক বন্দর হতে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজসমূহকে দিক নির্দেশনা প্রদানের সুবিধার্থে বাতিঘরের সেবা সুবিধা প্রদানে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অমাদের একটা পুরনো আইন আছে, দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট, ১৯২৭। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে, এর প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের আগমন ও প্রত্যাগমনের সময় জাহাজের মালিক অথবা এজেন্ট অথবা মাস্টার কর্তৃক বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে। তবে শর্ত আছে যে, সরকার কর্তৃপক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণের ৩০ কার্যদিবেসের মধ্যে পুনরায় বাতিঘর মাশুল আরোপ বাতিল অথবা বা তারতম্য করার ক্ষেত্রে রেয়াত দেওয়া হয়েছে।’

‘সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশনকে মাশুল সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে জাহাজ মাশুল দেবে না সে জাহাজকে আটক করা যাবে। যতক্ষণ টাকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে আটক করে রাখা যাবে। টাকা দিলে ছুটে যাবে।’

নতুন সংযোজন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বন্দরে বাতিঘর কর্তৃপক্ষ যুক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাতিঘর পরিচালিত হয়ে থাকে।’

বাতিঘরের উপর মাশুল আরোপ করার বিধান আগে থেকেই ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি একটু সহজীকরণ করা হয়েছে।’

বিধানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত ও প্রত্যাগত এবং এক বন্দর হতে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজসমূহকে দিক নির্দেশনা প্রদানের সুবিধার্তে বাতিঘরের সেবা সুবিধা প্রদানের জন্য সরকার এ আইনের অধীন প্রত্যেক আগমন ও প্রত্যাগমনকারী জাহাজের জন্য সময়ে সময়ে বাতিঘরের মাসুল নির্ধারণ ও বাতিঘর মাশুল সংগ্রহ করতে পারবে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর