এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে হোল্ডাররা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাছে গৃহকর ও যাবতীয় ফি প্রদান করতে পারবে। গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্স বা বিবিধ চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে নানামুখী জটিলতা দূরীকরণ ও আদায় বাড়াতে এই কালেকশন অটোমেশন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে চসিক।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে আগ্রহী চারটি ব্যাংকের সাথে সংস্থাটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড অংশ গ্রহণ করেছে। চুক্তি পত্রে চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহা এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনোয়ার উদ্দিন, ওয়ান ব্যাংকের পক্ষে এডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফজলুর রহমান চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকের ইভিপি অ্যান্ড টিম লিডার আনোয়ারুল ইসলাম ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের পক্ষে হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লাইবিলিটি ডিভিশন মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়ের প্রধান উৎস গৃহকর। করের টাকা দিয়েই করপোরেশন যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। অনিয়ম, দুর্নীতি বা যেকোন ধরনের জটিলতা নিরসনে অটোমেশন নিরাপদ পদ্ধতি। জন অধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে ট্যাক্স আদায়ে অটোমেশন চালু করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অটোমেশন পদ্ধতি চালুকরণের ফলে অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে। পাশাপাশি অ্যাসেসমেন্টকৃত হোল্ডিংয়ের সঠিকভাবে কর আদায় করা যাবে। কর আদায় না হলে করপোরেশনের ব্যয় বা উন্নয়ন সম্ভব হবে না। বর্তমানে চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকা। আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই তিন বছর আট মাস সময়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রকল্প পেতে হলে চসিককে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ম্যাচিং ফান্ড দিতে হয়। একমাত্র ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহৃদয়তায় জিরো ম্যাচিং ফান্ডে অনুমোদিত হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘চলতি বছর আমার প্রয়োজন প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ৬০ কোটি টাকা। তাহলে প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই আয় খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।