সড়কে মৃত্যুর মিছিল হ্রাসে জনগণের সহায়তা চাইলেন সিমএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান। একইসাথে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী ও নেতৃবৃন্দকে বিরোধী দলের আন্দোলনের ডাল হিসেবে ব্যবহার না হওয়ার বিষয়ে সর্তক করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (২১ মার্চ) চট্টগ্রামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও নেতৃবৃন্দের সাথে ঘরোয়া মতবিনিময় সভায় কমিশনার তাদের সতর্ক করেন। নগরীর দামপাড়া সিএমপির সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিমএমপি কমিশনার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তরুণ বয়সে তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) আবেগের মাত্রা থাকে বেশি। এ কারণে তোমরা সহজেই মাঠে নেমে যেতে পার। তবে অনুরোধ করব তোমরা যেন রিরোধী দলের আন্দোলনের উৎস হয়ে না পড়। আমাদের আজকের মেলবন্ধন যেন অনেক দূর এগিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্ঘটনা হ্রাসে জনগণকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার, রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকা, যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাতে দোকানা না বসা এবং ট্রাফিক নিয়মককানুন সম্পর্কে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে জনগণের সম্মলিত প্রচেষ্ট ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে দুর্ঘটনা রোধ করার সম্ভব নয়।’
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও আইন) আমেনা বেগম, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ রাজধানীর নর্দ্দা এলাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাসের ধাক্কায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীর আবরারের মৃত্যুর পর নতুন করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা। এর রেশ টেনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীরা সড়কের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার (২০ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে স্কুল-কলেজের সামনে সাইন চিহ্ন, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বিআরটিসি বাস, অর্ধেক ভাড়া, যাত্রী ছাউনির বিষয় উঠে আসে।
এরপর বৃহস্পতিবার সিমেএমপি কমিশনারের সাথে বৈঠকে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।