৭১’র চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ১২ জন কাউন্সিলর। খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুদিন ধরে চলে আসা গুঞ্জনের ইতি ঘটলো এ যোগদানের ফলে।
রোববার (২৪ মার্চ) নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে মহানগর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নিকট নৌকার তৈরি ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন এ ১২ কাউন্সিলর।
আওয়ামীলীগে যোগদান করা ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে ৮ জন সাবেক ও বর্তমান বিএনপি নেতা, বাকি ৪ জন স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাদের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল নগরীর রাজনৈতিক অঙ্গনে।
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরা হলেন, কেসিসি’র ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এইচ এম ডালিম, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামান মনির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান বিশ্বাস, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মোঃ গাউসুল আজম।
এর মধ্যে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ১৭ নং ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান ও ১৬ নং ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান বিশ্বাসকে আগেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০ নং ওয়ার্ডের শেখ গাউসুল আজম নিজে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও পরে বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়েই কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন। বাকিরা নগর ও থানা বিএনপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়ী ৪ কাউন্সিলর হলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম মওলা শানু, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আরিফুল ইসলাম মিঠু এবং সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরা আকতার। এছাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইউনুস সরদারও আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কেসিসির ৩১টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিগত নির্বাচনে ৯ বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে ৩ জন ছাড়া বাকি ৬ জন আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন।
এ ব্যাপারে নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বার্তা২৪.কম কে বলেন, ‘ভোট জালিয়াতির নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র ও সাংসদ তাদের দলকে শক্তিশালী করতে অসৎ প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছেন। এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বিএনপিতেও নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবে আগামীকাল প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।'
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নগর আ’লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে অধিকাংশ কাউন্সিলররাই আ’লীগে যোগদান করেছেন। বাকীরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।'