চট্টগ্রাম আদালত ও জেলা পুলিশের মালখানায় বিভিন্ন মামলার ২ লাখ আলামত অরক্ষিতভাবে পড়ে আছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত খোয়া যাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়িত্বে পুলিশ থাকলেও তাদের কাজের অবহেলায় প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটছে।
আদালত প্রাঙ্গণে মালখানার ওই ভবনের সামনের রাস্তায়, বারান্দায় রাখা হয়েছে মামলার আলামত। যেগুলো একেবারেই অরক্ষিত।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নতুন ভবনের নিচ তলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মালখানা রয়েছে। এ মালখানায় প্রায় ৪০ হাজার আলামত সংরক্ষিত আছে। একই ভবনের দোতলায় জেলা পুলিশের মালখানায় এক লাখ ৪২ হাজার মামলার আলামত রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম আদালতে জেলা পুলিশের মালখানায় চুরির ঘটনায় ৬৪টি মামলার আলামত ও ২৭ লাখ টাকা খোয়া গেছে।
গত সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় মালখানার তালা খুলতে গিয়ে চুরির ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরবর্তীতে জব্দ করা মালের মধ্যে কি কি খোয়া গেছে তার তালিকা তৈরি করে পুলিশ।
সিএমপির আদালত প্রসিকিউটর সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহাব উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'আমাদের প্রায় ৪০ হাজার আলামত রয়েছে। তবে এ তালিকা আবার হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ সংখ্যা আরও কম বেশি হতে পারে। কারণ অনেকগুলো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যায়।'
অপর দিকে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মালখানায় ১ লাখ ৪২ হাজার মামলার আলামত রয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের দোতলায় জেলা পুলিশের মালখানায় চুরি ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এখান থেকেই ৬৪টি মামলার আলামত সরানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'চুরির ঘটনার পর আদালতের মালখানার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। মামলার আলামত আরও সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
চুরির ঘটনার পর খলিলুর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামান নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে।
এই মালখানায় অস্ত্র, গুলি, টাকা, মাদক, সোনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার আলামত রয়েছে।