বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেলারেল ডা. এ কে এম মাহবুবুল হক বলেছেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়ে আজকে ভাল।'
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে বিএসএমএমইউ পরিচালকের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. মাহবুবুল হক বলেন, 'গতকাল যে ওষুধ গুলো দেয়া হয়েছিল সেগুলোই খালেদা জিয়া খাচ্ছেন। গতকালের চেয়ে আজকে তার অবস্থা ভালো। নতুন করে তার শারীরিক কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। শুধু সুগার টেস্ট করা হয়েছে, যা উনি নিজেই করেন।'
এখন কি কি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আসলে একটা একটা করে কি কি মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে, এটা বলাটা কঠিন। গতকাল যে সমস্ত সমস্যা নিয়ে এসেছেন সব কিছুরই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকালের থেকেই উন্নতি হচ্ছে।'
উনার শারীরিক সমস্যাগুলো বন্দি থাকার কারণে বেড়েছে কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'পরিবেশের কোন ইফেক্ট আছে কিনা, ওনার যে সমস্যা সেগুলো অ্যানালাইসিস করা আমার জন্য আসলে কষ্টকর। প্রত্যেকটা অসুখের জন্য বিশেষজ্ঞরা আলাদা। এক কথায় এটা বলা কঠিন।'
ডায়াবেটিসের বিষয়ে প্রশ্ন করলে উনি বলেন, 'আগে যে ওষুধগুলো খেয়েছেন সেগুলোই এখনো খাচ্ছেন।'
দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে এর আগে যখন এই হাসপাতালে এসেছিলেন তখন সঠিক চিকিৎসাটা পাননি এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিচালক বলেন, 'আগের ব্যাপারটা আমি আসলে নিশ্চিত না, দুই সপ্তাহ আগে এখানে এসেছি। সে ব্যাপারে ডিটেলস জানি না। না জেনে বলাটাও ঠিক হবে না। তবে গত কালকে আসার পরে এখন পর্যন্ত আমরা যেভাবে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছি ,আমার মনে হয় উনি স্যাটিসফাইড। গতকাল উনি হাসিখুশিভাবে আমাদের সাথে কথা বলেছেন। আজকেও আমাদের বোর্ডের প্রেসিডেন্ট দেখা করে এসেছেন, উনি হাসিখুশিভাবেই কথা বলেছেন। উনি ভালো ভালো আছেন। এবারে চিকিৎসাটা ভালো হচ্ছে। চিকিৎসায় তিনি খুশি।'
কত দিনে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা বলা কঠিন। চিকিৎসা হচ্ছে চিকিৎসার একটা পর্যায়ে উনি কমফোর্টেবল ফিল করলে উনি হয়তো বলবেন যে, আমার তো ভালো লাগছে এখানে থাকার কি দরকার।'
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গত ২৮ মার্চ ৫ সদস্যের নতুন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা হলেন- ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. জিলাল মিয়া সরকার, রিউমাটোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিনা পারভিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ, অর্থপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহমুদ।
এছাড়া মেডিক্যাল বোর্ডকে সাহায্য করার জন্য আরও দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন তারা হলেন- রিউমাটোলজির এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. শামিম আহমেদ এবং ডা. মামুন। তবে মেডিকেল বোর্ডের বাইরে দুই জনকে আন অফিসিয়ালি নেয়া হয়েছে।