বিদেশ থেকে বিনিয়োগ, অভিজাত এলাকা থেকে বণ্টন

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 15:15:24

রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল আব্দুল্লাহপুর থেকে এক চালানের আট লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। জব্দকৃত এই ইয়াবা চালানের খরচ হিসেবে বিনিয়োগ আসতো বিদেশ থেকে। আর অভিজাত এলাকার একটি বাসা থেকে তা রাজধানীজুড়ে বণ্টন হতো।

মঙ্গলবার ( এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের এই ইয়াবা চালান সর্ম্পকে তথ্য দেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের কাছ থেকে জানা গেছে, লাখ পিস ইয়াবা চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। এই চালানটি হাতে পৌঁছার আগে পর্যন্ত লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। এই অর্থ বিদেশ থেকে বিনিয়োগ করা হয় বলে জানান তারা। তবে এখন পর্যন্ত চক্রের মূল হোতা সর্ম্পকে কিছু বলেনি তারা।’

তিনি জানান, চালান ঢাকায় পৌঁছার পর রাজধানীর অভিজাত এলাকার একটি বাসায় রাখা হয়। তারপর সেখান থেকে রাজধানীজুড়ে ব্রিক্রি করা হয়। একটি চালানের জন্য তারা একটি বাসা ব্যবহার করে। তারপর বাসা ছেড়ে নতুন কোথাও ভাড়া নেয়।

আটকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারি, সঙ্ঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্র মায়ানমার থেকে মধ্যরাতে নদী পথে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে আসছে। প্রথমে তারা পটুয়াখালী উপকূল অঞ্চলে চালান নিয়ে আসবে।  তারপর ঢাকায় আসবে।’

এই সূত্রের উপর ভিত্তি করে, গতকাল সোমবার ভোর রাতে একটি অভিযান চালিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় সপ্তবর্ণা নামক একটি লঞ্চ থেকে তুহিন হোসেন ( ২৫) সবুজ (২৬)-কে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যে থেকে জানা যায়, সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের অপর সদস্য শাহজাহান (৩৫) বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ সড়ক পথে বরিশাল হতে ঢাকায় আসছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিন লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, এই চক্রটি গভীর সাগর থেকে ইয়াবা ট্রলারের মাধ্যমে পটুয়াখালীর উপকূল এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে তারা সুবিধামতো নদীপথে ওে স্থলপথে ইয়াবা পাচার করে।

দুই ভাগে ইয়াবা পাচারের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তারা জানানএক পথে ধরা পড়লে অন্য পথে যেন না ধরা পড়ে। আট থেকে ১০ জন সদস্যের একটি চক্র তারা প্রায় দেড় বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর