বায়ু দূষণে মৃতের সংখ্যায় ৫ম অবস্থানে বাংলাদেশ

ঢাকা, জাতীয়

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 21:34:31

বিশ্বে দশটি দেশের মধ্যে বায়ু দূষণে মৃত্যুর সংখ্যায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ২০১৭ সালের জরিপে বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার-২০১৯ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাতাসে পিএম২.৫, বাসস্থানের অবস্থান এবং ওজনের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বায়ু দূষণ। আর বিশ্বে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ। যার সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এছাড়া বায়ু দূষণের ফলে ১০৪ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যহানিতে ঝুঁকছে। বায়ু দূষণের ফলে মৃত্যুর কারণ হিসেবে যে রোগগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো- শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো ব্যাধি। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার, উচ্চ রক্ত চাপ, তামাকের ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে দশটি দেশে বায়ু দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে চীন এবং ভারত। দুটি দেশেই বায়ু দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা ১২ লাখ। এরপর রয়েছে পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া। বায়ু দূষণের কারণে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ২৪ হাজার জন। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ২০১৭ সালে বায়ু দূষণে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

 

এরপরে যথাক্রমে নাইজেরিয়ায় ১ লাখ ১৪ হাজার জন, আমেরিকায় ১ লাখ ৮ হাজার জন, রাশিয়ায় ৯৯ হাজার জন, ব্রাজিলে ৬৬ হাজার জন এবং ফিলিপাইনে ৬৪ হাজার জনের মৃত্যু হয়।

পূর্বে অনিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশনের অভাবকে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এই প্রতিবেদনে বায়ু দূষণকেই প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ ছিল দক্ষিণ এশিয়ায়। এর মধ্যে নেপালে ছিল প্রতি কিউবিক মিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, ভারতে প্রতি কিউবিক মিটারে ৯১ মাইক্রোগ্রাম। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। এখানে প্রতি কিউবিক মিটারে পিএম২.৫ রয়েছে ৬১ মাইক্রোগ্রাম।

বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে গত তিন দশক ধরেই পিএম২৫ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে। ১৯৯০, ২০১০ এবং ২০১৭ প্রতি বছরই বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ পিএম২.৫ এর ভয়াবহতার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর