বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের মধ্য দিয়ে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ ঘটে।’
রোববার (৭ এপ্রিল) ১৪০তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির মূল ভেন্যু শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে নেপালের স্পিকার কৃষ্ণা বাহাদুর মাহারার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং আন্তঃবাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই বাঙালি জাতিকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন তা অনন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। দেশের জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।’
সরকার সবার জন্য শিক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার বলয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সারাদেশে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে।’
এ সময় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নেপালের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বানও জানান তিনি।
নেপালের স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নেপাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অনুসরণ করতে চায়। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দু'দেশের সংসদ সদস্যগণ ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে উপকৃত হতে পারবে। বাণিজ্য প্রসারে নেপালের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আবদুস সোবহান মিয়া, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।