চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বন্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নগরীর উদ্দশে ছেড়ে যায়নি পরিবহন দফতর থেকে শিক্ষকদের পরিবহন বাস। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে (সিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সহায়তায় সকাল থেকে বিভিন্ন ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আমরা শাটল ট্রেন স্বাভাবিক করব।’
এদিকে রোববার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আন্দোলকারীদের অবস্থান থাকলেও সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে কাউকে দেখা যায়নি। তবে জলকামান ও এপিসি গাড়ি নিয়ে সর্তক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরও সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আসছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপরও অন্তরালে শিক্ষার্থীদের অস্ত্র মামলার বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক দফা সংঘর্ষের পর রাতে পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি পাইপ গান, ১১২ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
পরের দিন ফের ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে ছয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
এরপর সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুটি পক্ষ একত্রিত হয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়। ধর্মঘটের এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করলেও প্রশাসনের মধ্যস্ততায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।