আগামীতে সব নির্বাচনে ইভিএমে ভোট

ঢাকা, জাতীয়

ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 02:52:38

সক্ষমতা অনুযায়ী আগামীতে প্রায় সব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৮ এপ্রিল) কমিশনের ৪৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইভিএমে ভোটের বিষয়ে আগে থেকেই ইতিবাচক অবস্থানে কমিশন। সামনের নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়টি সোমবারের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। তবে ভোটে কতোটি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে, কতজন জনবল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তার উপর এ মেশিন ব্যবহার নির্ভর করবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে ইভিএম মেশিন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামনের নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ সকল নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে।’

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে কমিশন ইতিবাচক। আগামীতে সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে। বিষয়টি আমাদের সক্ষমতার উপর নির্ভর করছে।’

এদিকে সর্বশেষ পঞ্চম উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, সব সদর উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরপর বলা হয় তৃতীয় ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপের ভোটে সদর উপজেলাগুলোয় ব্যবহার করা হবে ইভিএম। পরে তৃতীয় ধাপে সাতটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে না পারায় সীমিত সংখ্যক উপজেলার ভোটে ব্যবহার করা হয় এই ভোটযন্ত্র। সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে বাগেরহাট সদর, ফেনী সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, ময়মনসিংহ সদর ও পটুয়াখালী সদরে ইভিএমে ভোট হয়।

দেশে প্রথমবারের মতো ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রথা চালু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন। গড়ে ২০ হাজার টাকার সেই ইভিএম ২০১৩ সালে রাজশাহীর সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিকল হয়ে যায়। সেই ইভিএম আর ঠিক করা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করে। পরে ওই ইভিএম আর ব্যবহার করা হয়নি।

সেই মেশিন নষ্ট হওয়ায় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিগত কমিশন নতুন করে উন্নতমানের মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেয়। বর্তমান কেএম নুরুল হুদা কমিশন প্রতি মেশিন দুই লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর