'অতীতের তুলনায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা কম'

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 12:46:46

অতীতের তুলনায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আগে আধাঘণ্টা বৃষ্টি হলেই সচিবালয়ের রাস্তায় পানি জমে যেতো। বিগত কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হলেও এবার তা হয়নি। আমি মনে করি, অতীতের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতার শঙ্কা অনেক কম। তবে ভারি বর্ষণ হলে ফ্রান্স, প্যারিস, জাপানেও জলাবদ্ধতার অভিজ্ঞতা আছে।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) কৃষিভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন) স্থাপনের জন্য এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে মেট্রোরেলসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। সাময়িকভাবে সড়কের কিছু অংশ বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতা রোধে আমরা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। তারাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আমাদের দেশে উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা পেয়েছি- বক্স কালভার্ট। এ কালভার্টগুলো সারাবছর পরিষ্কার করতে হয়। এগুলো যখন করা হয়েছে, তখন বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এখন প্রয়োজন এই কালভার্টগুলো যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখা। যেসব বক্স কালভার্ট আছে, সেগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। আমাদের অনেক খাল দখল হয়েছে। সেগুলো দখল করে ২০ তলা বা তারও বেশি উঁচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখন এসব খাল-নদী আমাদের উদ্ধার করতে হবে। আমরা সেগুলো করবো।

মন্ত্রী আরও বলেন, লন্ডনের টেমস নদীর পাশ দিয়ে এক সময় দুর্গন্ধে হাঁটা যেতো না। সেটিকে তারা এখন দুর্গন্ধমুক্ত সুন্দর করেছে। সাংঘাই নদীও এক সময় এমন ছিল, এখন সেটি দৃষ্টিনন্দনভাবে গড়ে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ বিভিন্ন নদী টাস্কফোর্সের আওতায় আনা হয়েছে। ১৭ তারিখ মাস্টার প্লান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নদীর জায়গা দখল করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালীরা। সেগুলো এখন উদ্ধার করা হচ্ছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আবাহওয়া সংক্রান্ত সেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন) স্থাপনে এলজিআরডি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ৫২০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর