জলবায়ুর প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের যুব সমাজ নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল, এমপি। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সৃষ্ট ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা যুবকদের শক্তি ও মানসিক বল ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। যাতে যুবকরাই এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বদান করতে পারে।’
গতকাল জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘যুব ২০৩০: তরুণদের জন্য এবং তরুণদের সাথে কাজ করছে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের মডারেটর ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের যুব বিষয়ক বিশেষ দূত মিজ জয়ত্মা উইক্রামানায়েকে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশনের লক্ষ পূরণে যুব ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। আশা করছি, পরবর্তী কয়েক দশকে আমরা জনসংখ্যার লাভ ঘরে তুলতে পারবো। কারণ আমাদের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে যুব-সম্প্রদায়। আর যুব সম্প্রদায়ই হচ্ছে আমাদের দেশে সকল অর্জনের সম্মুখ শক্তি। এমনকি এই যুবকরাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।’
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের নারী এবং যুবকদের নিয়ে সরকার দেশীয় অভিযোজন ও প্রশমন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কতা ও জরুরি জান-মাল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আমাদের যুবকরা আশা সঞ্চয়কারী শক্তি।’
যুব প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১৫৫ মিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী এখন স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। যুব-ভিত্তিক ক্লাব, সংঘ ও সংস্থাও (যেমন: ওয়ার্কস ফর গ্রিন বাংলাদেশ ও দ্যা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) জলবায়ু নিয়ে কাজ করছে। তারা গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে, সবুজ প্রযুক্তি ও সৌর শক্তির ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত র্যালি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের আয়োজন করছে।’