এবার চট্টগ্রামের ৪ জেলায় ভ্রমণে যাচ্ছেন এলিজা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 17:48:09

বাংলাদেশি বিশ্ব পর্যটক ও লেখক এলিজা বিনতে এলাহী। শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য ৪৩তম জেলা পটুয়াখালী। এবার চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দিয়েই শুরু করবেন তার এই বিভাগের ভ্রমণ। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সরেজমিনের ঘুরে দেখার পাশাপাশি লিখিত তথ্য, লোককথা, স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘কোয়েস্ট’ নামক প্রজেক্টের আওতায় ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে ভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন স্থানীয়দের।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার সহকারী অধ্যাপক এলিজা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের ৪৩টি জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত করেছেন। সপ্তম বিভাগ চট্টগ্রামের প্রথম জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে শুরু হবে।

নেদারল্যান্ডসের ‘দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স’ এ অধ্যয়নরত এই পর্যটকের গবেষণার বিষয়ও ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’। বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি ইতোপূর্বে এশিয়া ও ইউরোপের ৪৬ দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিভ্রমণ করেছেন। এশিয়ার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে রয়েছে তার দু’টি প্রকাশনা- ‘এলিজাস ট্রাভেল ডায়েরি’ ও ‘এলিজাস ট্রাভেল ডায়েরি-২’। এছাড়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি মূলধারার কয়েকটি পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। এলিজা মনে করেন বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’ প্রসারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশে পর্যটনশিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। এলিজা বলেন ‘২০ বছরের বিশ্ব ভ্রমণের যাত্রায় আমার নিজেকে সত্যিকার ট্রাভেলার মনে হয়েছে যখন আমি বাংলাদেশের কোনায় কোনায় গেছি। আমার দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিয্য এবং মানুষ আমাকে যা আনন্দ দিয়েছে পৃথিবীর বড় বড় দেশ তা দিতে পারেনি। আমি দেখেছি গর্ব করার মত বিশ্ব মানের স্থাপনা আমাদেরও রয়েছে । প্রয়োজন শুধু সংরক্ষণ, রক্ষণা-বেক্ষণ ও প্রচার প্রচারণা।’

৬৪টি জেলায় বৃহৎ পরিসরের কাজটি সম্পাদনের ব্যাপারে তিনি প্রশাসন, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর