রাতেই সিলগালা করা হবে বিজিএমইএ ভবন

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 18:27:30

ঢাকা: বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালপত্র সরিয়ে নিতে একদিনে তৃতীয়বারের মতো সময় বাড়ালো রাজউক। তবে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতের মধ্যেই ভবন সিলগালা করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজউকের পক্ষ থেকে।

সন্ধ্যা ৬টায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে এ কথা জানান রাজউকের হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ভবনের ভেতরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালপত্র সরিয়ে নিতে আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে সময় দিতে হচ্ছে। যতো দ্রুত সম্ভব মালপত্র বের করার নির্দেশ দিয়েছি। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই আমরা ভবনটি সিলগালা করবো। বিজিএমইএ ভবনের কারণে হাতিরঝিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়।

তিনি জানান, এ ভবন সরানো হলে এ সমস্যা দূর হবে। ভবনটি অপসারণে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণের জন্য চীন থেকে বিশেষজ্ঞ দল আনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবন অপসারণ করা হবে। এতে সহায়তা করবে সেনাবাহনী।

২০০৬ সালের ০৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে ভবনটি বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সাল ০৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ০৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেন বিজিএমইএকে।
তারপর ভবন ভাঙার জন্য তিন দফায় আদালত থেকে সময় বাড়িয়ে নেয় বিজিএমইএ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর