আগামী অল্প দিনের মধ্যে ৫ থেকে ৭ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এবার যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মহিলা ডাক্তার বলে জানান মন্ত্রী।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রেস্ট ফিডিং কার্যক্রম আরও বাড়ানো দরকার। হাসপাতালসহ অনেক কর্মক্ষেত্রেই ব্রেস্ট ফিডিং কার্যক্রম যথাযথ নয়। আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে। আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। এটা চলমান আছে। অল্প দিনের মধ্যে আরও ৫-৭ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিতে সক্ষম হবো। এই ডাক্তারদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মহিলা ডাক্তার। এছাড়া এবার মেডিকেলে ভর্তির সংখ্যায় দেখা গেছে ৬১ শতাংশই নারী। কাজেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে।’
নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যে ও পুষ্টির বিষয়টি সরাসরি দেখে খাদ্যমন্ত্রণালয়। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকি। তাদের যে বিভিন্ন রকমের কাজ হয় সেখানে স্বাস্থ্যসেবার লোকরাও থাকেন। আমরা শুধু সচেতন করতে পারি। আমরা তো হোটেলে যেয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। আমাদের এখতিয়ারে নেই।
তিনি বলেন, ‘ভেজাল খাদ্যের কারণে দেশে দেশে ক্যান্সার, কিডনি রোগ বাড়ছে। এজন্য আরও বেশি সচেতন করতে হবে। একটা কথা আছে খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করুন, ওষুধকে খাদ্য হিসেবে না।’
ভেজাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপ যথাযথ কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তো যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু আমি মনে করি আরও বেশি কাজ করার দরকার আছে।'
এ সময় মন্ত্রী উদাহরণ টেনে বলেন, ‘পত্রিকায় ছবি দেখলাম আমে স্প্রে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে আমে স্প্রে করা যাবে না। আম বাগানে একজন পুলিশ পাহারাদার রাখতে হবে, সেগুলো তো হচ্ছে না। কাজেই পুরোপুরি সফল হয়ে ওঠেনি। আরও বেশি কাজ করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. শাহ নেওয়াজ প্রমুখ।