শেখ ফজলুল করিমের জামাতা ও নাতি শ্রীলঙ্কায় গুরুতর আহত

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 12:28:57

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী ও নাতি জায়ান চৌধুরী কলম্বোর বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি তাদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া চান।

রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এম্পায়ার হোটেল এন্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইন্দেরা সামুদেরা বলরুমে ব্রুনাই দারুস সালামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক গণসংবর্ধনার বক্তব্যে ব্রুনাই সফররত প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। খবর বাসস।

শ্রীলঙ্কার হামলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আরেকটি দুঃখজনক ঘটনা হলো, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের পরিবার শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার শিকার হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'সেলিমের মেয়ে-জামাই ও নাতি এ সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেয়ে-জামাই আহত হন এবং আজ বিকেল পর্যন্ত নাতির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।'

এক সূত্রে জানা যায়, জায়ান চৌধুরী এখনো আশংকামুক্ত নন। শেখ সেলিমের কন্যা শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী ও দুই পুত্রসহ কলম্বোতে ছিলেন। যে আট জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে তার একটি সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেল।

বোমা হামলার সময় হোটেলের নিচ তলায় রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন, মশিউল হক চৌধুরী ও তার ছেলে জায়ান চৌধুরী। অন্যদিকে, বড় ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ আমেনা ছিলেন হোটেলের ছয় তলার একটি রুমে। ফলে বেঁচে গেছেন তারা। দুজন অক্ষত আছেন।

শেখ সেলিমের এপিএস ইমরুল কায়েস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'ওনারা আহত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে আছেন।'

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলার তীব্র নিন্দা এবং এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সন্ত্রাসীদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসীদের কোন বর্ণ, ধর্ম ও দেশ নেই। তারা সন্ত্রাসী এবং মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। সুতরাং আমি তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।'

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলংকার ৮টি স্থানে সংঘটিত বোমা হামলায় বহু লোক নিহত ও আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’


শেখ হাসিনা বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডেও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কেবল জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেনি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক রেখেছে। ‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করা মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

তিনি বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী, দুর্নীতিবাজ ও মাদকাসক্তদের ঠাঁই হবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর