পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন দেশের বিভিন্ন সময়ে বিলুপ্তিপ্রায় বনসম্পদ সংরক্ষণ ও গবেষণা জন্য উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের তাগিদ দিয়েছেন। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া উদ্ভিদ রক্ষায় গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ বন ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরএই) মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে আমরা বৃক্ষ নিধন, পাহাড়, টিলা কেটেই যাচ্ছি। আমরা মনে করছি, পাহাড় কাটলে রাস্তা সম্প্রসারণ করা যায়। এটা ভুল ধারণা। বনজ শিল্প, গবেষণা এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কার্যক্রম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চাই।
মতবিনিময় সভার পূর্বে মন্ত্রী চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তিনি ঔষধি উদ্ভিদের জার্মপ্লাজম সেন্টার, নার্সারি ল্যাবরেটরি, প্রযুক্তি পার্ক, ব্যাম্বুসেটাম ঘুরে দেখেন এবং একটি চারা রোপন করেন।
সভায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিএফআরএই) এর পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার লোকবলের অভাবে পরিবেশ বন গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও আপনারা গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন দেখে অবাক হয়েছি। আমরা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছি আপনাদের জনবল নিয়োগের যাবতীয় বিষয় পূরণ করা হবে।
এসময় দিন দিন সুন্দরবন দখল হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। বন রক্ষায় তিনি গবেষক এবং পরিবেশ অধিদফতরে কর্মকর্তাদের নতুন নতুন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, সপ্তম সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি বন্ধ করা হয়েছিল। সরকার এ বিষয়ে নতুন করে পরিকল্পনা নিয়েছে, শ্রীঘ্রই আইনমন্ত্রণালয় থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরএই) এর পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি সভার শুরুতে ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরেন। এরপর বিএফআরআই এর মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা স্বাগত বক্তব্য রাখেন।