পুলিশের নাগালের বাইরে গুলি চালানো সেই কাউন্সিলর

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-29 16:53:26

তাঁতী লীগের নেতা মো. শাহজাহানকে (৩৩) গুলি করে আহত করা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তাহেরকে ১৭ দিনেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তবে এখনো পুলিশ বলছে, আবু তাহের গ্রেপ্তার হলে তারা নিশ্চিত করে বলতে পারবে তিনি গুলি চালিয়েছিলেন কি না। মামলার বাদী ও শাহজাহানের বড় ভাই মো. শামীম প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহজাহানের অবস্থা উন্নতির দিকে। তাঁর ডান ঊরুতে গুলি লেগেছিল। তিনি বলেন, এত দিনেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গ্রেপ্তার হলেন না। কাউন্সিলর আবু তাহের আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। শামীম বলেন, শাহজাহানকে গুলি করার ঘটনায় করা মামলার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আসলামুল হক। সাংসদের এলাকায় ভাড়া থাকেন তাঁরা। যেটা ভালো হয় সাংসদ তা-ই করবেন। দারুস সালাম থানার পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর রাতে গৈদারটেক মোড়ে শাহজাহান তাঁর চালকের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর আবু তাহের ওই পথে ফিরছিলেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তিনি প্রথমে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ও পরে নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র বের করে গুলি চালান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আবু তাহের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ঘনিষ্ঠজন। তাঁর প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের তটস্থ রাখেন। স্থানীয় আরকেটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিকদের জানান, অনেক দিন ধরে ডিএনসিসির নিয়মিত ও বিশেষ সভায় আবু তাহের আসেন না। যোগাযোগ করা হলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. সেলিমুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তাহের তাঁর গৈদারটেকের বাসা তালা মেরে পালিয় গেছেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এজাহারে বর্ণিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর কাউন্সিলরের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদপুর থেকে আবদুল্লাহপুর রুটে চলাচলকারী শাহজাহানের একটা ছোট বাস রয়েছে। আহত শাহজাহান শেরেবাংলা নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর