মোহাম্মদপুরের বসিলার জঙ্গি আস্তানায় নিহত দুই জঙ্গির নাম ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোন পরিচয় মেলেনি। তবে সে নাম নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
তদন্তকারীদের মাঝেও এ নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। কেউ বলছেন, নিহত দুই জঙ্গির নাম সুমন ও সুজন। আবার কেউ বলছেন, সুমন ও ইমন। তবে তাদের যে নামই হোক না কেন, নাম দুটি ছদ্মনাম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা।
এর আগে তারা নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে গতকাল অভিযানের শেষ দিকে বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান।
এদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা অভিযানের পর, আরও প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও জঙ্গিদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পায়নি এ নিয়ে কাজ করা র্যাবের এলিট ফোর্স।
জানতে চাইলে র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'অভিযানকালে বাড়ির একটি কক্ষে থাকা দুই জঙ্গি, শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী দেয়। পরে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ভেতরে ঢুকে দুজনের ছিন্নভিন্ন লাশ খুঁজে পায়।'
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, 'যেহেতু ছিন্নভিন্ন লাশ সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের আঙুল খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। যার ফলে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে র্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজে বা নাগরিক পরিচয় কোনটায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'
একই বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'যেহেতু আঙুল নেই। তাই এখন জঙ্গিদের পরিচয় নিশ্চিত হতে গেলে, ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ডিএনএ নমুনা হাতে না এলে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।'
তাছাড়া জেএমবির অন্য সূত্র থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে নিহত ২ জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য বলে জানা গেলেও তারা পুরান সদস্য নাকি নব্য সেটিও পরিষ্কার হয়নি।