শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে তার একদিন আগেই ডাউন হয়ে গেছে দেশে আবহাওয়ার তথ্য জানার একমাত্র সরকারি সংস্থা আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.bmd.gov.bd)। এছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আবহাওয়া অধিদফতরে। হটলাইনে ফোন করেও আবহাওয়ার খবর জানতে পারছেন না মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশের চেষ্টা করায় ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয়ে আমরা বৈঠকে বসছি। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’
এ দিকে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, শক্তশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অপরদিকে কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।