ঘুর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌ অঞ্চলে নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নৌবাহিনীর জাহাজ মেঘনা বরিশালে, বানৌজা তিস্তা ঝালকাঠিতে, এলসিটি-১০৪ বরগুনায় এবং এলসিভিপি-০১১ পটুয়াখালীতে থাকবে। জাহাজগুলো জরুরি খাদ্য সামগ্রী হিসেবে দুই হাজার পরিবারের জন্য তিনদিনের শুকনো খাবার বহন করছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য শুকনো খাবার হিসেবে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি তেল, দুই কেজি লবণ, দুই কেজি চিড়া, দুই কেজি মুড়ি, এক কেজি গুড়, প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি, পলিথিন ব্যাগ, ম্যাচ বক্স, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও প্রয়োজীয় ওষুধ রয়েছে। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া, নৌ কন্টিনজেন্টগুলো অনুরূপ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সড়ক পথে দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য নিয়োজিত থাকবে।