ফণীর প্রভাবে মংলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের সম্ভাবনা

খুলনা, জাতীয়

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 06:47:53

মংলা থেকে: ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনিতেই মংলা ও এর আশপাশের এলাকায় সুপেয় নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে। ফলে নানা কষ্টে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হয় প্রাকৃতিক স্বল্প উৎস থেকে। কিন্তু এসব পানির এসব উৎসের জন্য ঘূর্ণিঝড় ফণী মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা আরও বলছেন, 'ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। আর এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে পশুর ও শেলার নদীর লবণাক্ত বিষাক্ত পানি মংলা ও এর আশপাশের এলাকার সুপেয় পানির উৎসগুলোর সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এসব পানি পান করতে পারবে না স্থানীয়রা। তাই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে মংলা এলাকায় ব্যাপকভাবে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিতে পারে।'

শুক্রবার (৩ মে) রাতে মংলার স্থানীয় কয়েকজন পরিবেশ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানা যায়।

এ বিষয়ে মংলার কোস্টাল কমিউনিটি রেজিলিয়ান প্রজেক্ট ম্যানেজার পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো.মাহমুদুল হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর মংলা এলাকায় যে প্রথম সমস্যাটি দেখা দিবে তা হলো সুপেয় পানি। কেননা এই এলাকায় খুব অল্প কয়েকটি সুপেয় পানির উৎস আছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে পশুর ও শেলা নদীর বিষাক্ত লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যাবে৷ তাই এই পানি পান করা সম্ভব নয়।'

তিনি বলেন, 'এছাড়া ঘর বাড়ির প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

অন্যদিকে ফণীর সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'মংলা বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী ৪১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে শুক্রবার মধ্যরাতের যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় ফণী খুলনার উপকূলীয় এলাকা মংলা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'তখন বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। মধ্যরাতেই ঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পর্যন্তও বাড়তে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা যাচ্ছে না।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর