যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে বন্যার শঙ্কা

ঢাকা, জাতীয়

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 18:04:12

যমুনা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ভারতের গৌহাটি, ডিব্রুগড় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ মিলিমিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ কারণে বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদীতে বন্যার আশঙ্কা করছে অনেকেই। তবে বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র এখনই বন্যার আশঙ্কা দেখছেন না। টিসিও জহিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৪ দশমিক ৯২ মিটার নিচে অবস্থান করছে। আর যমুনায় রয়েছে ৫ দশমিক ০৮ মিটার নিচে।
বড় নদী হওয়ায় ভারি বৃষ্টিপাত হলেও সহজেই এখানে বন্যার কোনো আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টির সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র বেসিনের নদী ধরলা, তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া দিয়ে যদি পানি প্রবেশ করে তবেই বন্যার শঙ্কা থেকে যায়।

বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ নদ ব্রহ্মপুত্র। চীনের মানস সরোবরের কাছে উৎপত্তি হয়ে ভারতের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যার মোট দৈঘ্য ২ হাজার ৮৫২ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ২৭৬ কিলোমিটার।

এর অববাহিকায় আসামের ডিব্রগড় ও গোহাটি এলাকা প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট অ্যাপসগুলোও। এতে দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ জুড়েই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বেশিরভাগই বহ্মপুত্র দিয়ে প্রবাহিত হবে। যে কারণে বন্যার আশঙ্কা দেখছেন অনেকে।

ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি ফণীর প্রভাবে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মেঘালয়সহ বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকা, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এ অঞ্চলে যেকোনো সময় পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ সেন্টারের (এফএফডব্লিউসি) বিশেষ এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিতে পারে। প্রবল বর্ষণের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, ব্রহ্মপুত্র, কংস, জাদুকাটা এবং তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকা আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারত থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পানি নেমে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা, মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই, সুনামগঞ্জের জাদুকাটা, হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা হতে পারে।

এতে বলা হয়, প্রথম দফা ২-৩ মে ভারতের মেঘালয় অববাহিকায় এবং ২য় দফা ৬-৭ মে ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকা, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হতে পারে।

 আরও পড়ুন: বর্ষার আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন

এ সম্পর্কিত আরও খবর