ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শেষে দেশের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশের তাপমাত্রা আবারও বৃদ্ধি পাবে। আগামী তিন দিনে ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রোদের প্রখরতাও বাড়বে।
রোববার (৫ মে) সকালে সূর্য ওঠার পর থেকে রোদের প্রখরতা বাড়তে থাকে। আকাশও বেশ পরিষ্কার দেখা যায়। তবে খুবই হালকা বাতাস রয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসও ছিল। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ছিল।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এখন তেমন কোথাও বৃষ্টি হবে না। তবে সিলেটের কয়েকটি স্তানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গড়াতে পারে। আরও বেশ কয়েকদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে। আর এমনিতেই এ সময়টা গরম থাকে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চলে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্কতা সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরে এখন কোনো সংকেত নেই।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহী বিভাগের বদলগাছিতে ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (৪ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে এদিন সর্বোচ্চ বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় নোয়াখালরি মাইজদীকোর্টে ৯০ মিলিমিটার। এর আগের দিনও রেকর্ড করা হয় মাইজদীকোর্টে ১২১ মিলিমিটার।
ঢাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।