এসএসসিতে চট্টগ্রামে সেরা কলেজিয়েট স্কুল

চট্টগ্রাম, জাতীয়

রাকিব কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-09-01 04:00:27

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সেরার হওয়ার মুকুট অর্জন করেছে ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুল। সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ-৫ পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার বিদ্যালয়টি থেকে ৪৫৭ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১১ জন। এর মধ্যে ৪৫৫ জন ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও অপর দুইজন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। বিজ্ঞানের এক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।

ব্যবসায় শিক্ষা থেকে জিপিএ ফাইভ ৫ শিক্ষার্থী তানজিম হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আজকের এমন রেজাল্টের পেছনে বাবা-মা এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা আমাদের পরামর্শ এবং সহায়তা না করলে এত ভালো রেজাল্ট করতে পারতাম না। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে আরও ভালো রেজাল্ট করতে পারি।'

বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী ইমরান ইব্রাহিম অনুভূতি জানাতে গিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এত ভালো রেজাল্টের পর কেমন আনন্দ হয় বোঝানো সম্ভব নয়। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার আব্বু-আম্মু, শিক্ষক আর প্রতিষ্ঠানকে। যারা সহায়তা না করলে এমন ফল পেতাম না।'

শ্রেষ্ঠত্বের এমন কৃতিত্বে পুরোটাই শিক্ষক আর অভিভাবকদের দিলেন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীর ভালো রেজাল্টের জন্য উন্মুখ ছিল। আর অভিভাবকরা দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের দেখভালের করেছেন বলে প্রতিষ্ঠান সামগ্রিক অর্থে ভালো করেছেন।'

গ্রাম আর নগরীর মধ্যে বরাবরই ফলাফল নিয়ে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। নগরীর অধিকাংশ স্কুল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ এগিয়ে থাকলেও গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকেছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ শিক্ষাবিদ জানান, 'আগে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফল করতো, স্ট্যান্ড করতো। এখন কিন্তু সেটা দেখছি না। শহরের স্কুলগুলো ঘুরেফিরে ভালো করতে শুনি। সরকারের এত সুযোগ-সুবিধার পড়েও গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ মুখী নন। তারা অনেকক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সচেতন নন। এদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ এবং নজরদারির আত্ততায় আনা হলে শহর গ্রামের রেজাল্টের ব্যবধান কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা দশ স্কুল

চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৯২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১২ জন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা নাসিরবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৬১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫৯ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৯৪ শিক্ষার্থী।

চতুর্থ অবস্থান থাকা খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২৪ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এর মধ্যে ২৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

পঞ্চম অবস্থানে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের ৪৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬৫ জন পাশ করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬৪ শিক্ষার্থী।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা নাসিরবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩৫ জন পাশ করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১৮ জন।

সপ্তম অবস্থানে থাকা নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫১৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৯ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৮৭।

অষ্টম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০৯ শিক্ষার্থী পাশ এবং ১৬৩ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

নবম অবস্থানে চট্টগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পাশ এবং ১৪৬ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পান।

এছাড়া দশম অবস্থানে থাকা কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৬ পাশ এবং ১১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর