বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি গড়ার পরামর্শ ভারতের

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 10:31:08

ভারতের আদলে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি গড়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রিভা গাঙ্গুলী। এ পরামর্শের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের স্মার্ট সিটি তৈরি করার যথেষ্ট সম্ভাবনা ও স্থান রয়েছে। ভারত আগ্রহী হলে আমরা যেকোনো সময় উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে স্মার্ট সিটি তৈরি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে দু’জনের সৌজন্য সাক্ষাতে এই আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকালে তারা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের আবর্তনে এ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভর করে পরিপক্কতা লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সাথে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রকৃতপক্ষে ভালো সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পারিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

তিনি জানান, তৃতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।

ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

 

রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা; বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে আরো জোর দেওয়ার আহবান জানান তিনি। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসাবে বাংলাদেশের এলএনজি, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতে আরো বেশি বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাই কমিশনার।

সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কাল চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। আগামীর চাহিদা পূরণে শিক্ষা সংস্কারের আমাদের ক্লাসরুমগুলোতে পর্যায়ক্রমে এসব বিষয় শিক্ষা প্রদান করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত চাইলে এই খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে।

মুস্তফা কামাল বলেন, ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) ক্রয় প্রক্রিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান আছে। এ প্রক্রিয়াতেও ভারত অংশগ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভারত এনবিআরের অটোমেশন, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি মজুদ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর