বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নকলের অভিযোগে আটক পাঁচজনের কাছ থেকে ১৫০টি সিল জব্দ করেছে পুলিশ। এসব সিল দিয়ে সব কাগজপত্র নকল করার কথা স্বীকার করেছেন আটককৃতরা।
বুধবার (৮ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।
তিনি বলেন, এ অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. আব্দুল খালেক (৬৭), মো. আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), মো. আব্দুল জলিল (৬৪), মো. আব্দুর রহিম (৩১) ও মো. মোতালেব হোসেন (৫৮)। মঙ্গলবার বিকেলে তিনটায় রাজাধানীর পূর্ব কাফরুল এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, আটকের সময় তাদের হেফাজতে থাকা বিপুল মোটরযানের জাল রুট পারমিট ফরম, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র, ফিটনেস সনদপত্র, ট্যাক্স টোকেন ফরম, বীমা ফরম, বীমা স্ট্যাম্প স্টিকার, ডকুমেন্ট প্রাপ্তি রশিদ, রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়েছে।
তাছাড়া তারা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অফিসের ১৫০ টি সিল বানিয়েছে। যা দিয়ে এসব নকল কাগজপত্র তৈরি করতেন।
গাড়ির কাগজপত্র জাল সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আটককৃতরা প্রায় ১০/১২ বছর ধরে মোটরযানের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে আসছে।
গাড়ি ও চালকের ধরণ ও চাহিদা ভেদে তারা বিভিন্ন অংকের অর্থের বিনিময়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ন্যায় সকল ধরণের প্রয়োজনীয় জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত ও সরবরাহ করতেন।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে গ্রাহক সংগ্রহ করে বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে নকল এসব কাগজপত্র বানিয়ে নিজেরাই সিল স্বাক্ষর করে পুনরায় গ্রাহকদের সরবরাহ করতেন। গ্রাহকদের বেশিরভাগই যারা অদক্ষ ড্রাইভার হিসেবে অথবা চোরাই বা ত্রুটিযুক্ত গাড়ির জন্য স্বল্প খরচে এই চক্রের মাধ্যমে জাল কাগজপত্র সংগ্রহ করে আসছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রটি দালাল হিসেবে বিভিন্ন সময় আসল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী গ্রাহকদেরও জাল কাগজপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করতেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা ক্ষেত্রবিশেষে গাড়ি প্রতি সকল কাগজপত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ৫/৬ হাজার টাকা করে নিতেন। এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:>>বিআরটিএ'র কাগজপত্র নকল করার অভিযোগে আটক ৫