রংপুরে রমজানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-ছোলা-খেজুরের

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-23 08:59:12

রমজানের শুরুতেই পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুর, চিনি, ডাল, ডিম, মাছ, মাংস ও মুরগির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, ধাপ সিটি বাজার, শাপলা চত্বর খাঁন বহুমুখী বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার সময় বেশি ব্যবহৃত হয় এমন পণ্যের দাম বেড়েছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ছোলা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা, খেজুর ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, ডিম হালি প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা। এছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের শাক সবজির দামও বেশ চড়া।

পাকা টমেটো প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বাজার ভেদে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রকার ভেদে আলু ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা ও লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা। প্রতি পিস চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ১০ টাকা। পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা বাজারের মতো দাম বেড়েছে মাংসের। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩২০ টাকা, কার্ফু ২০০-২৪০ টাকা, মিরর কাপ ১৮০-২২০ টাকা, জাপানি কার্ফু ২২০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, সিলভার কাপ ১২০-২৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, মাগুর ৪০০-৭৫০ টাকা, মৃগেল ২০০-২৪০ টাকা এবং কাতল মাছ ২৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে রমজানের শুরুতেই এমন বাড়তি দামে চিন্তিত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, রোজার কারণে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে মূল্য তালিকা টাঙানোর পাশাপাশি মনিটরিং বাড়ানো দরকার।

এদিকে রমজানে দাম বাড়াকে স্বাভাবিক ঘটনা বলছেন বিক্রেতারা। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এ কারণে তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

ছোলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে কেন জানতে চাইলে সিটি বাজারের বিক্রেতা হোসেন আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। ৫০ কেজির চিনির বস্তায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বেশ। ছোলায় বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। আমরা কি করব? তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, রমজান শুরুর আগে বাজার মনিটরিং করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারো মূল্য তালিকা টাঙানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাজারগুলো মনিটরিং করা হবে।

অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিলারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মালামাল বিক্রি বাড়ানোর কথা বলছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর