আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুরকে ঢাকায় জেরা করছে পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে ''সন্ত্রাসী আক্রমণের চেষ্টা''র অভিযোগে আটক আকায়েদ উল্লাহর স্ত্রী ও শ্বশুরকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে ঢাকায় তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে আজ তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে জিগাতলায় মনেশ্বর রোডের একটি বাসা থেকে আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুরকে তারা পুলিশের বিশেষ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে আকায়েদ তার শিশুসন্তানকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলেন এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বিবিসি বাংলাকে বলেছে। সেসময় আকায়েদ কাদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেছে বা কাদের সঙ্গে মিশেছে অথবা বাংলাদেশের অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার কোনোরকম যোগাযোগ আছে কী না তা জানতে তারা আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ তা এখনও জানায়নি। ২০১১ সালে বা-বামায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যাওয়া আকায়েদ বিয়ে করতে ২০১৬ সালে ঢাকায় আসেন। সেসময় থেকে তার স্ত্রী ঢাকাতেই বসবাস করছেন। জুন মাসে ঢাকাতেই আকায়েদের সন্তান হয়। ওই সন্তানকে দেখতে আকায়েদ সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় এসেছিলেন এবং এক মাস বাংলাদেশে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আকায়েদের নানার পরিবার বহুদিন থেকেই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। সেই সুবাদেই নিউ ইয়র্কে বসবাসের জন্য আকায়েদের পরিবার সেখানে চলে যায় ২০১১ সালে। আকায়েদের পূর্বপুরুষের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। আকায়েদের চাচাতো ভাই এমদাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সন্দ্বীপের সঙ্গে আকায়েদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। টেলিভিশনে আকায়েদের ছবি দেখে এমদাদ তাকে তার চাচাতো ভাই হিসেবে চিনতে পারেন এবং নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার খবর দেখে তিনি "স্তম্ভিত" হয়ে যান। তিনি বলেন আকায়েদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ না থাকলেও সে যে এধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে তা তারা ভাবতেও পারেনি।