পৃথিবীতে ১০ মিনিটে একজন মারা যায় জলাতঙ্ক রোগে

বিবিধ, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাক, | 2023-08-31 07:03:47

জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। পৃথিবীতে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতি বছরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। জলাতঙ্ক রোগটি মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে এই রোগ হতে পারে বলে  জানান বিশেষজ্ঞরা।

রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ  কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের কামড় বা আচঁড়ের শিকার হয়ে থাকেন। যাদের বেশির ভাগই শিশু। এছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার গবাদি প্রাণি এ রোগের শিকার হয়ে থাকে।

মহাখালীর জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়।

২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সারাদেশে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৪৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ এ নেমে এসেছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় প্রায় ৬০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।

জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. উম্মে রুমানা সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন,বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ৬৪ টি জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মাণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধে টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ অঙ্গীকার নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে এ রোগে আক্রান্তের হার ৫০ ভাগের অধিক কমে এসেছে। তবে ৯৫ ভাগের অধিক ক্ষেত্রে কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণিতে জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়। তাই কোনো এলাকার ৭০ ভাগ কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা প্রদান করলে ওই এলাকায় জলাতঙ্ক নির্মূল করা সম্ভব এটি। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। এই টিকা দেওয়ার ফলে কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে এবং উক্ত এলাকাকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর