সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতার পাশাপাশি কঠোরভাবে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, সড়ক নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় তৈরি এবং নিরাপদ সড়ক গড়তে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ সকল স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শনিবার (১১ মে) সিরডাপ মিলনায়তনে মহাসড়কের ইন্টারসেকশনে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পঞ্চম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মহাসড়কের পাশের অস্থায়ী হাটবাজার সরানো জরুরি। এর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্য পুস্তকে ট্রাফিক বিধি সংযোজন করতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার ও যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধে আরও কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। মহাসড়কের ইন্টারসেকশনকে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আনতে হবে। দূর করতে হবে সড়কের নির্মাণজনিত ত্রুটি।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার নানান কারণ রয়েছে। মহাসড়কের নির্মাণ তথা প্রকৌশলজনিত ত্রুটি দূর করতে প্রকৌশলীগণ সচেষ্ট। পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমীক্ষার তথ্য পর্যালাচনা করে প্রাপ্ত সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা হবে।’
কর্মশালায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উদ্যোগে দেশের জাতীয় ও আন্চলিক মহাসড়কের ছয়শ তিরানব্বইটি সড়ক সংযোগস্থল বা ইন্টারসেকশনের ওপর এক সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর বিশেষজ্ঞগণ আলোচনা শেষে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানের সভাপতিত্বে দিনব্যপী কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারপারসন ইলিয়াস কাঞ্চন, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহিদ ও প্রকৌশলী ফজলুল করিম।