যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের যাত্রা শুরু

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-30 14:18:22

প্রধানমন্ত্রী যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে দেশের আইসিটি সেক্টরে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। গতকাল রোববার বেলা একটার ঠিক আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই আইটি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্য প্রান্তে যশোরে সফটওয়্যার পার্কে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিতকুমার রায়, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জাহাঙ্গীর আলম, যশোর জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পার্ক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইজন শিক্ষার্থী, একজন শিক্ষক, দুইজন আইটি প্রফেশনাল এবং হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নবীন উদ্যোক্তাদের সাথেও কথা বলেন। এই পার্কে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশকে প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত সফটওয়্যার তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি । ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিশ্বমানের আইটি পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পার্কে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ ১৫-তলা মাল্টি-টেন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি) স্থাপন করা হয়েছে। এখানে জায়গার পরিমাণ ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট। আন্তর্জাতিক থ্রি-স্টার মানের আবাসন ও জিমনেসিয়ামের সুবিধাসহ ১২-তলা ডরমিটরি বিল্ডিং, একটি ক্যান্টিন ও এম্ফিথিয়েটার, ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস রয়েছে। মূল ভবনের পাশে ৫ একরের বিশাল জলাধার রয়েছে এবং চারপাশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ৪০টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এই পার্কে ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর