‘দেড়শ বছরেও আমরা জন্ম নিবন্ধন শেষ করতে পারিনি’

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-24 10:14:35

গত দেড়শ  বছরেও আমরা জন্ম নিবন্ধন শেষ করতে পারিনি। ১৮৭৩ সালে এ দেশে জন্ম নিবন্ধন শুরু হলেও আজও তা শেষ করতে আমরা পারিনি। সুখের বিষয় এ কাজ শুরু হয়েছে । কিন্তু দু:খের বিষয় এটি খুবই ধীর গতিতে চলেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সোমবার (১৪ মে) কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।  

৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন না করলে শাস্তির বিধান রাখার কথা বলেন আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, প্রবাসীদেরও সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস) এর আওতায় আনতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্য একটি জন্ম নিবন্ধন করার জাতিসংঘের বাধ্যবাধকতা আছে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, সমস্ত  জনগণকে জন্ম নিবন্ধনের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ডিজি নিলুফার আহমেদ বলেন, জন্ম, মৃত্যু, মৃত্যুর কারণ, বিবাহ, তালাক ও দত্তক— এ ছয়টি বিষয় সিআরভিএসের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তবে বাংলাদেশে এ ছয়টির পাশাপাশি নাগরিকের স্থানান্তর ও শিক্ষাবিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে সিআরভিএস অ্যান্ড বিয়ন্ড নামক এ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এ ক্ষেত্র সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করার জন্য বিশ্ব এই ইপিআই কর্মসূচি স্বীকৃত ও সমাদৃত। সঠিক লোকসংখ্যা জানা খুবই দরকার। ৪৫ দিনের মধ্যে টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা দরকার।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো‘র (ব্যানবেইস)  মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন,  ১০ ডিজিটের বিশেষ আইডির মাধ্যমে নাগরিকের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)’ শীর্ষক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

স্থানীয় সরকারের জন্ম নিবন্ধন বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল মানিক লাল বনিক বলেন, ২০১৯ সালে হিসাব অনুযায়ী ৫ বছরের নীচে শিশুর ৮৫ শতাংশ জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে। জন্ম হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। যারা এর মধ্যে নিবন্ধন হয়েছেন  তারা পুনরায় নিবন্ধন করতে গেলে সিস্টেম বাধা দেবেন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, ১৯৭৯ সালে মাত্র ৬টি টিকা দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যক্রম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন টিকা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে টিকার সংখ্যা হয় ১১ আর ২০১৮ সালে সেটি তের’তে উন্নীত করা হয়। 

২০১৫ সালের জাতীয় জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ইপিআই এর আওতায় ১ বছরের নিচের শিশুদের টিকা গ্রহণের হার ছিল প্রায় শতভাগ (৯৯ শতাংশ) যা কিনা ১৯৮৫ সালে ছিল মাত্র দুই শতাংশ। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে দেশকে পোলিও মুক্ত করে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত সনদ অর্জন করে। ২০০৮ সালে মা ও নবজাতককে ধনুষ্টংকার দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এবং টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ হয় নতুন নতুন টিকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর