বিএনপি’র ৪ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪ | 2023-08-13 09:08:07

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপির চার নেতাকে জবরদস্তিমূলকভাবে গ্রেপ্তার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। বিরোধী দলের এই চার নেতাকে গ্রেপ্তারে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে  সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির রমনা জোনের উপ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত কমিশনার, দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার, রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনারসহ ১৪ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ হাই কোর্টে আবেদনটি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এহসানুর রহমান ও মীর হেলাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে ৬ মার্চ, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমানকে ৮ মার্চ, সহ সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে ৬ মার্চ সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। তাদের সবাইকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সময় গ্রেপ্তার করা হয়। মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, “গ্রেফতারকৃত মিলনের উপর অসম্ভব অত্যাচার করা হয়, পরে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “আমাদের আপিল বিভাগের একটি রায় আছে কীভাবে গ্রেপ্তার করতে হবে, রিমান্ডে নেওয়ার ব্যাপারে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেটা সকলের প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক। খুবই পরিচ্ছন্ন এবং সুদূরপ্রসারী রায়।” এই চারজনকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ‘সম্পূর্ণভাবে আইন ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি’, বলেন সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ। রুলের পর আগামী ১ অগাস্ট আবেদনটির পরবর্তী শুনানির দিন আদালত নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর