চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরায় জেলে সম্প্রদায়ের জলদাশ পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেলাম্বু রানী জলদাস (৫৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশি বাধার মুখে আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালে নিতে না পারায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
সোমবার (২০ মে) রাত ১টায় কুমিরার ৭নং ইউনিয়নের ঘাটঘর এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের জলদাস পাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ অন্তত শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘৩০ হাজার ইয়াবাসহ এক আসামিকে ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাধে।’
নিহতের বিষয়টি স্বীকার করে ওসি বলেন, ‘একজন বৃদ্ধা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।’ অবস্থা উত্তপ্ত বলে ওসি কথা বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে গ্রামবাসী জানিয়েছে, সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিনের জলদাশ পাড়ায় নিয়মিত চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। চাঁদা না দেওয়ায় রাত ১২টায় থানা পুলিশের রুবেল দাস নামে এক যুবকের কথা কাটাকাটি থেকে তাকে আটক করতে যায় এসআই জসিম। তখনই গ্রামবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে সেই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়।
নিহত বেলাম্বু রানী দাশ রুবেলের মা। ছেলেকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে পুলিশের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, রাত ২টা ১০ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল কুমিরা জলদাস পাড়া ঘেরাও করে রেখেছে। এতে আহতদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।