শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পিএস সেজে প্রতারণার অভিযোগে ওসমান (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেফতার ওসমান কখনো উপমন্ত্রীর ভাই, কখনো পিএস পরিচয়ে কখনো বা নওফেলের কন্ঠ এবং পিএসের কন্ঠ নকল করে প্রতারণা করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এক প্রেসবিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুর রউফ।
তিনি জানান, ওসমান ইমু, ম্যাসেঞ্জার, ভাইভার, ওয়াটসঅ্যাপে নওফেলে ছবি দিয়ে আইডি খুলে আবার মোবাইলে একই ব্যক্তি কথা বলে এতে বিশ্বাস স্থাপন করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘ চার মাস ধরে সে বিভিন্ন জনের কাছে নওফেল সেজে টাকা দাবি করে আসছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ওসমান জানায়, ঢাকায় ছাত্রলীগ নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন বলে তিনি তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। চট্টগ্রাম নগরের শ্রমিক লীগ নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলির কাছ থেকে নওফেল সেজে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।
এছাড়া ওসমান পাহাড়তলী এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজের বোনকে ভর্তি করান। বিভিন্ন নম্বর ব্যবহার করে এ কাজ করে আসছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
আবদুর রউফ বলেন, নওফেল সেজে প্রতারণার খবর আমরা অনেক আগেই পেয়েছিলাম। তাকে গ্রেফতার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। অবশেষে নগরীর ডাবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া, সিরাজ মিয়ার বিল্ডিং এর চতুর্থ তলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসমানের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার ডাইনছড়ি, বাঘনাতলী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ ও আছিয়া বেগমের ছেলে।
ওসমান কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিকদের বলেন, অভাব অনটনের তাড়না থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজ বেছে নিয়েছেন। তিনি মানিকছড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিন বছর আগে থেকে নগরী পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস শুরু করেন।