জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কমে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। আর সবজি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে অপরিবর্তিত দামে। ফলে বাজার নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্টির কথা জানালেও, বিক্রেতাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৪ মে) নগরীর অভিজাত কাজির দেউড়ি, চকবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রোজার প্রথম দুই সপ্তাহে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের বাহিরে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করেছিল ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতাদের মাঝে বাজার নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছিল।
তবে শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৭২৫ টাকার বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমে বয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকায়, কক ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে রিয়াজউদ্দীন কাঁচাবাজারের মাংস ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দীন বার্তা২৪.কম-কে জানান, নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে সকাল থেকে। ক্রেতারা কিনছেন, কারো কোনো অভিযোগ নেই। তবে হঠাৎ করে কম দামে মাংস বিক্রির বিষয়ে কোনো কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে সবজির মধ্যে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে বেগুন ৫০ টাকা হলেও শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন ৭০ টাকায়, আলু ২০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০, কাঁকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, গাঁজর ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা কেজি, লেবু হালি ২০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাকের মধ্যে এক আঁটি লাউ শাক ২০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা ও ডাটাশাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর মাছের দাম অপরিবর্তীত থেকে প্রতি কেজি রুই ৪০০ টাকায়, কাতলা ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।