‘সৈয়দ আশরাফ আমাকে বললেন মুজিব বাহিনীতে যেতে হবে’

ময়মনসিংহ, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ | 2023-08-21 03:04:50

আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিজের সঙ্গে প্রয়াত এ রাজনীতিকের মধুর সম্পর্কের কথাই বললেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বললেন, ‘সৈয়দ আশরাফ ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর সঙ্গে এ আমার অনেক স্মৃতি। আমি একদিন রাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য এসেছিলাম। তিনি ছিলেন কলকাতা এবং মুজিব বাহিনীর যে ট্রেনিং হয়েছিলো সেখানে।

তিনি শুনেছেন যে আমি তোরায় এসেছি, তিনি ও শাহজাহান সিরাজ তোরায় আসলেন। এসে আমার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খবর দিয়ে আমাকে নিয়ে আসলেন এবং বললেন যে আপনাকে মুজিব বাহিনীতে যেতে হবে।’

ড.আব্দুর রাজ্জাক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সাহসী ও তেজোদীপ্ত একজন নেতা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি সৈয়দ আশরাফকে বললাম আমার প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ। আমি দেশে যাবো, দেশে গিয়ে যুদ্ধ করব। আমি আর মুজিব বাহিনীতে যাব না। আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি দেশে ফিরে যুদ্ধ করতে চাই। সে তখন হেসেছে।

যতদিন বেঁচেছিল সবসময়ই বলতো রাজ্জাক ভাইকে আমি মুজিব বাহিনীতে নিতে পারি নাই, সে যুদ্ধ করার জন্য দেশে ফিরে এসেছিল। কোনো সময় 'ভাই' ছাড়া বলতো না আমাকে, বলতেই ভারী তাঁর কণ্ঠস্বর।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণে স্মরণ সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এভাবেই সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে নিজের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন ড.আব্দুর রাজ্জাক।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মো: মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু।

স্মৃতিকাতর হয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দলের সর্বশেষ কাউন্সিলেও কাউন্সিলরদের কাছে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তাঁর সততা ও নিষ্ঠা রাজনীতিতে বড় সম্পদ ছিল। রাজনৈতিক কৌশল কী হওয়া উচিত, অনেক কম কথা বললেও কী কথাটি বলা উচিত, এই মুহূর্তে কোন পদক্ষেপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি তিনি খুব সহজেই নির্ধারণ করতে পারতেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর