ঈদ মৌসুমে ব্যস্ততার ‘ছটা’ পড়ছে দরজিপাড়ায়

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 04:33:35

ঈদের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে, সেই সঙ্গে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে কেনাকাটার ব্যস্ততা বেড়েছে। আর ক্রেতাদের সেই ব্যস্ততার ছটা এখন পড়েছে রাজধানীর দরজি পাড়াগুলোতে।

সোমবার (২৭মে) ২১ রোজার দিন রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, এলিফ্যান্ট রোড ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে পোশাক তৈরির দোকানগুলোতে কর্মচারীদের ব্যস্ততার চিত্র চোখে পড়েছে।

দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে দরজিরা, ছবি: বার্তা২৪

দরজি দোকান মালিকরা বলছেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আশানুরূপ পোশাক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন। রাতেও সেলাইয়ের কাজ করছেন কর্মচারীরা।

নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় বুটিক, এম্বোডারি ও দরজির শতাধিক দোকান আছে। সব দোকানের সেলাই আর এম্বোডারিতে ব্যস্ত মালিক-কর্মচারীরা।

নারীদের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দরজিরা, ছবি: বার্তা২৪

কারিনা টেইলার্সের মালিক ও মাস্টার মো. কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবার ঈদে বেশ ভালো অর্ডার পেয়েছি। কয়েকদিন ধরে বেশ কাজের চাপ আছে দোকানে। এসব কাজের মধ্যে সবগুলোই ঈদের কাপড় সেলাই।'

দিনরাত কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বায়নাদারদের চাহিদা মতো ঠিক সময়ে কাপড় ডেলিভারি দিতে হবে, সেজন্য রাতদিন কাজ করছি। গতকাল সারারাত এখানে কাপড় কেটেছি, আর কর্মচারী সেলাই কাজ করছে।’

পোশাকে চলছে নিত্য নতুন ডিজাইন, ছবি: বার্তা২৪

কারিনার টেইলার্সের পাশে মরিয়ম এম্বোডারি ও টেইলার্সের দোকানে থান কাপড়ের ওপর চলছে ডিজাইন বা নকশা। যাকে এম্বোডারি বলে। ক্রেতারা থান কাপড় গজ হিসাবে কিনে তাদের পছন্দের ডিজাইনে নকশা করার জন্য অর্ডার দেয়-এসব দোকানে।

এম্বোডারিতে ব্যস্ত দোকান কর্মচারী মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘থান কাপড় কিনে এনে বায়না দেয়, তাদের পছন্দ অনুযায়ী এম্বোডারি করে নকশা করি। নকশার ওপর দাম নির্ভর করে।’

এম্বোডারির দোকানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ, ছবি: বার্তা২৪

এই দোকানের মালিক মো. বেলাল মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাধারণ সময়ের চেয়ে কাজ একটু বেশি। কাজের মান অনুযায়ী ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিজাইন করা হয়ে থাকে।’

এম্বোডারির পাশাপাশি ছাপা নকশার প্রতি চাহিদা আছে ক্রেতাদের। যা বুটিক নামে পরিচিত। ক্রেতাদের কেনা থান কাপড়ের ওপর ডাইসের ছাপে নকশার কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে কর্মীদের।

প্রচণ্ড গরমেও থেমে নেই ক্রেতাদের শপিং, ছবি: বার্তা২৪

বুটিকের কাজে ব্যস্ত মো. হারুন বলেন, ‘সারাবছর এই ছাপার কাজ করি, অন্য সময়ের চেয়ে এখন বেশি কাজ। তাই একটু বেশি করে হাত চালাতে হচ্ছে।’

চাঁদনি চকের দরজি দোকানিরাও নিউমার্কেটের দরজিদের মতো ব্যস্ত। চাঁদনি চকের সুপ্রিয়া লেডিস টেইলার্সের মাস্টার বশির বলেন, ‘কাজ মোটামুটি আসছে।’

ঢাকার নিউমার্কেট, চাঁদনি চক ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকার শপিংমলগুলোতে কাজও পাচ্ছেন ফিটিং দরজিরা। তারা সারাবছর এসব মার্কেটে রেডিমেড কাপড়গুলো ক্রেতাদের মাপ অনুযায়ী ফিটিং করে দেন। অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি কাজ পাচ্ছেন বলে জানান নূরজাহান মার্কেটের দ্বিতীয় তলার ফিটিং দরজিরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর